স্বাস্থ্য
স্বাস্থ্য

স্বাস্থ্য ভালো রাখার কয়েকটি সহজ উপায়!

কিছু সহজ উপায় আপনার স্বাস্থ্য -কে ভালো রাখার জন্য নিম্নলিখিতগুলি হতে পারে:

১। পর্যবেক্ষণকারী খাবার খান: আপনার খাবার থেকে যে ক্ষতি হচ্ছে তা অনেক সমস্যার মূল হতে পারে।

পর্যবেক্ষণকারী খাবার খেতে চেষ্টা করুন, অর্থাৎ তাজা সবজি এবং ফল, গরুর মাংস, মাছ এবং ডেয়ারী পণ্য সম্পূর্ণভাবে শুদ্ধ এবং নিরাপদ হওয়া উচিত।

২। ব্যয়াম করুন: প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যয়াম করা পরিমাণে আপনার শরীরের স্বাস্থ্যকে ভালো করে তুলতে পারে।

এটি হার্টের স্বাস্থ্য, মানসিক স্বাস্থ্য এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে।

৩। পর্যবেক্ষণকারী জীবনযাপন প্রণালী অনুসরণ করুন: রাতে ভালো ঘুম আপনার শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

স্বাস্থ্য ভালো রাখতে পর্যবেক্ষণকারী খাবার

পর্যবেক্ষণকারী খাবার হল সেসব খাদ্য যা শুদ্ধ এবং নিরাপদ হওয়ার নিশ্চয়তা রয়েছে। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে

এই খাবার খাওয়ার মানে হল আপনার খাদ্য বান্ধব এবং উন্নয়নশীল কোম্পানিদের তৈরি না হওয়া এবং সেগুলোর উৎপাদন পদ্ধতিতে কমতম ক্ষতি হয়।

পর্যবেক্ষণকারী খাবার অন্তর্ভুক্ত কিছু উদাহরণ হল:

  • তাজা সবজি এবং ফল, প্রতিদিন খাবারে অন্তত ৫ পরিমাণ সবজি এবং ফল উপস্থাপন করতে হবে।
  • পুরো গ্রেইন অ্যান্ড সিরিয়াল, ওটমিল, ব্রাউন রাইস ইত্যাদি স্বাস্থ্যকর খাদ্য।
  • মাংস এবং মাছ, পশুপাখির মাংস এবং সামান্য মাত্স্যিক জীবনপ্রদ প্রস্তুতি স্বাস্থ্যকর।
  • ডেয়ারী পণ্য, মিল্ক, চিজ এবং দই এমন উৎপাদন স্বাস্থ্যকর হতে পারে।

সুতরাং পর্যবেক্ষণকারী খাবার খাওয়া স্বাস

ওছাড়া ও সপ্তাহে ৩০ পদের সবজি ও ফল-ফলাদি যা আপনার স্বাস্থ্য কে ভালো রাখবে

প্রতিদিন ৫ পরিমাণ সবজি ও ফল খেতে হলে এটি খুবই ভালো ধারণা। তবে, যদি আপনি সপ্তাহে ৩০ পদের সবজি ও ফল খেতে চান তবে আপনার সম্পূর্ণ খাদ্য তালিকা বিভিন্ন ধরনের সবজি এবং ফল উপস্থাপন করতে হবে।

একটি সাধারণ তালিকা যা উল্লেখযোগ্য সবজি এবং ফল উপস্থাপন করে তা হল:

  • ব্রোকলি
  • বাঁধাকপি
  • ফুলকপি
  • শশা
  • স্পিনাচ
  • লাল সবজি (যেমন: লাল পেয়াজ, লাল কপি)
  • ভেজিটেবল সুপ (যেমন: সেলারি, টমেটো, কার্রট, লবনী এবং মশলা দিয়ে তৈরি সুপ)
  • তাজা পেঁপে, কমলা, আম, পাপয়া, বানান, আঙ্গুর এবং জমবু ইত্যাদি।

আপনি অন্যান্য সবজি এবং ফল যেমন টিনেড ফল, আলু, মাটি, কুমড়া, বেগুন, মূলা এবং পেয়াজ ও লসুন ইত্যাদি খেতে পারেন।

ব্যয়াম করুন

ব্যয়াম করা আপনার শারীরিক স্বাস্থ্য ও মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে সহায়তা করে।ব্যয়াম করে শরীরের বলবিশেষ, হৃদয়, শ্বাসকল্পস্থল, স্নায়ু ও স্কেলেটন পদ্ধতিতে কাজ করা হয়।

নিয়মিত ব্যয়াম করা শরীরের প্রতিটি অংশকে সুস্থ রাখে এবং শরীরে তন্দ্রাচ্ছন্নতা এবং মনোবিজ্ঞান প্রতিরোধে সহায়তা করে।

একটি সম্পূর্ণ ব্যয়াম রুটিন নিয়মিত ব্যয়াম করা উচিত এবং একই সময়ে প্রতিদিন সমান পরিমাণ ব্যয়াম করা উচিত।

সাধারণত সেটি দৈনন্দিন জীবনযাপনের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা যায়। একটি উপযুক্ত ব্যয়াম রুটিন হল:

  • দৌড় দৌড় করা
  • স্কোয়াট করা
  • লাঙড জাম্প করা
  • বাইসাইকেল চালানো
  • উত্তানাসন করা
  • ক্রাঞ্চ করা
  • পুশআপ করা
  • আর্ম স্ট্রেচিং করা
  • লেগ স্ট্রেচিং

মন খুলে হাসুন

হাসা একটি স্বাস্থ্যকর কাজ। হাসার মাধ্যমে আপনি আপনার মন ও শরীরের স্বাস্থ্য উন্নয়ন করতে পারেন।

হাসার সময় আপনি মাথার নোটকাটা পেছনে দিয়ে হাসতে পারেন যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো।

হাসার কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই এবং সেটি বিভিন্ন উপকারিতা দিতে পারে। কিছু উপকারিতা হল:

  • মনে হাসির মাধ্যমে কমপক্ষে কুছো সময় জীবনে নিশ্চিত হয়।
  • হাসার মাধ্যমে স্ট্রেস কম হয় এবং মনোবিজ্ঞানের প্রতিরোধ বাড়ায়।
  • হাসা দ্বারা সামান্য হৃদয় কাজ হয় যা আপনার হৃদয়ের স্বাস্থ্যকে উন্নয়ন করে।
  • হাসার মাধ্যমে আপনি স্বাস্থ্যকর মজার মুহুর্তগুলি উপভোগ করতে পারেন যা আপনার মনে খুশি এবং সুস্থতার অনুভূতি দেয়।

একটি সম্পূর্ণ হাসির রুটিন হল দৈনিক সময়ে 10-15 মিনিট।

হাসি নিয়ে ড. জেমস গিল বলছন

হ্যাঁ, হাসি নিয়ে ডাঃ জেমস গিল একজন মনোবিজ্ঞানী এবং স্বাস্থ্যবিদ

তিনি হাসির মাধ্যমে মানসিক সমস্যা, স্ট্রেস, ডিপ্রেশন এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যার জন্য হাসির উপকারিতা নিয়ে কাজ করে এসেছেন।

ডাঃ গিল একটি গবেষণার মাধ্যমে আবিষ্কার করেছেন যে, হাসি হাসার সময় মানসিক চিকিৎসার মাধ্যমে স্ট্রেস কমাতে এবং মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়ন করতে পারে।

তিনি একটি শিক্ষামূলক ভিডিও তৈরি করে ছিলেন যেখানে তিনি বিভিন্ন উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন।

তাছাড়া, ডাঃ গিল একটি কিতাব লিখেছেন “Anatomy of an Illness” যেখানে তিনি নিজের অসুস্থতা ও তার চিকিৎসার অভিজ্ঞতা নিয়ে আলোচনা করেছেন।

এছাড়াও তিনি হাসির উপকারিতা নিয়ে অনেক লেকচার দেয়া হয়েছেন যেখানে তিনি হাসি এবং মনোবিজ্ঞান নিয়ে আলোচনা করেছেন।

পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান

পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যসম্মত একটি পদক্ষেপ। একটি স্বাস্থ্যসম্মত শৈলী জীবনের সাথে সম্পর্কিত সকল বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়। মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্য উন্নয়নে ঘুম একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর।

একজন পূর্ণরূপে স্বাস্থ্যসম্মত ব্যক্তির জন্য প্রতিদিন 7-9 ঘন্টা ঘুম পর্যবেক্ষণ করা হয়ে থাকে। সম্পূর্ণ ঘুমানোর মাধ্যমে শরীরে রয়েছে বিভিন্ন প্রকারের প্রয়োজনীয় হরমোন এবং সংক্রমণের প্রতিরোধক গ্রন্থি যা শরীর ও মনের স্বাস্থ্যকে উন্নয়ন করে।

যদি আপনি নিজের ঘুমানোর সময়টি বার্তা, টিভি বা সামাজিক মাধ্যমের সাথে মিশে দিন, তাহলে এটি আপনার স্বাস্থ্যকে ব্যপক ক্ষতি করতে পারে।

সুন্দর পরিবেশ

সুন্দর পরিবেশ মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি সুন্দর পরিবেশ সবচেয়ে প্রভাবী ভাবে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে সাহায্য করতে পারে। কিছু উপায় নিম্নে উল্লেখ করা হলো যা আপনার সুন্দর পরিবেশ তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে:

  1. স্বচ্ছ ও সুন্দর পরিবেশে থাকুন। আপনার আশপাশের পরিবেশটি সুন্দর রাখুন এবং এটি সাফ ও পরিষ্কার রাখুন।

  2. পরিবেশে বিভিন্ন রঙের ফুল ও গাছ লাগানোর চেষ্টা করুন। ফুল এবং গাছ আপনার পরিবেশে রং এবং সুগন্ধি যুক্ত করে।

  3. বাগানে সময় কাটান। বাগানে সময় কাটান এবং ফুল ও গাছের সেভাবে যত্ন নেওয়া হয় তার সাথে খেলা করুন।

  4. পরিবেশে প্রাকৃতিক আলোর সাথে থাকুন। দিনের জন্য সুন্দর সূর্যের আলো নিয়ে সুস্থ হওয়ার চেষ্টা করুন।

স্বাস্থ্য ভালো রাখতে বিনোদন

বিনোদন মানে হলো মনোরঞ্জন বা মনোবিষ্ময়। বিনোদন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক, যা মানুষকে সমস্যা এবং তাকে বিরক্তি থেকে মুক্ত করে দেয়। বিনোদন করা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।

কিছু বিনোদনের উপায় নিম্নে উল্লেখ করা হলো:

  1. সিনেমা দেখা। একটি সিনেমার মাধ্যমে আপনি পরিবেশে ভালবাসা এবং বিভিন্ন কাজ এর থেকে মুক্ত হতে পারেন।

  2. প্রবন্ধ পড়া। আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন প্রবন্ধ পড়তে পারেন। এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন জ্ঞান সংগ্রহ করতে পারেন এবং নতুন কিছু শিখতে পারেন।

  3. খেলাধুলা করা। ক্রিকেট, ফুটবল, বলস্থপান এবং বলিং ইত্যাদি খেলাধুলা আমাদের মনোরঞ্জনের একটি উপায়।

  4. টেলিভিশন দেখা। আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী টেলিভিশন মনোরঞ্জনের একটি উপায়

  5. মিউজিক শুনা। মিউজিক শোনা আমাদের মনের স্বাস্থ্য পরিবর্তন করতে পারে। এটি আমাদের স্বাভাবিক মনের চলমানতা বজায় রাখতে পারে।

  6. বই পড়া। একটি বই পড়া আমাদের নতুন জ্ঞান সংগ্রহ করতে সাহায্য করতে পারে। এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারেন।

  7. ফ্রেন্ডস সাথে সময় কাটানো। ফ্রেন্ডস সঙ্গে সময় কাটানো আমাদের মনোরঞ্জন ও সমাজের সাথে যোগাযোগ উন্নয়নের উপকারিতা দেয়।

  8. নাচ করা। নাচ করা আমাদের মনের প্রশান্তি ও উল্লাস উন্নয়ন করতে পারে। নাচ করা আমাদের শারীরিক স্বাস্থ্যকে ভালোভাবে রাখতে পারে।

  9. কমিউনিটি এর কাজ করা। আপনি আপনার স্থানীয় কমিউনিটির একটি সদস্য হিসেবে একটি কাজে লগ ইন করতে পারেন।

এছাড়া ও আরো জানতে

সুস্বাস্থ্য কি? সুস্বাস্থ্য গঠনের উপায়! 2023

ইংরেজিতে ব্লগ পোস্ট পরতে ক্লিক করুন 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You May Also Like

মানসিক রোগের সমাধান

মানসিক রোগের সমাধান মানসিক সুস্থতার পথ নেভিগেট করা: মানসিক অসুস্থতার ব্যাপক সমাধান…

ইন্সুরেন্স কি এবং কিভাবে কাজ করে।

ইন্সুরেন্স কি ইন্সুরেন্স হল একটি আর্থিক ব্যবস্থা যা সম্ভাব্য আর্থিক ক্ষতি বা…

বাংলাদেশের সেরা ১০টি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ও তাদের ডিটেলস ২০২৩

বাংলাদেশের সেরা ১০টি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি ও তাদের ডিটেলস বাংলাদেশে বিভিন্ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি…

টনসিলের লক্ষণ এবং ঘরোয়া সমাধান – সকল বিস্তারিত।

টনসিলের লক্ষণ এবং ঘরোয়া সমাধান – সকল বিস্তারিত। আমাদের আজকের পাঠে আলোচনা…