ইসলামিক তরীকায় কাজের নিয়ম গুলি ইসলামের আদর্শ ও শরিয়াতের উপর নির্ভর করে। ইসলামে কাজের নিয়মগুলির মধ্যে শ্রেষ্ঠতম নিয়ম হলো শরিয়াহের পরিপূর্ণ মাননীয়তা রক্ষা করা। কাজের নিয়মগুলি নিম্নলিখিত হতে পারে:
ইসলামে প্রথম ও প্রধানতম নিয়ম হলো আল্লাহর প্রেম। সকল কাজ আল্লাহর প্রেমে এবং আরাধনায় করতে হবে। শরিয়াহের আদর্শে কাজ করা উচিত। ইসলামের মূল শাস্ত্র কোরআন এবং হাদিস সমূহকে মান্য করে কাজ করতে হবে। শরিয়াহের নিয়মাবলীতে সুন্নতে আমল করা উচিত। ইসলামিক তরীকায় কাজের প্রধান লক্ষ্য হলো দিনের বিশিষ্ট সময়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করা। এছাড়াও অন্যান্য ইবাদত করা উচিত, যেমন রোযা, হজ্জ, যাকাত ইত্যাদি। এভাবে ইসলামিক তরীকায় সকল কাল গুলো সম্পন্য করা সম্ভব।
আরো পড়ুনঃ ইসলামের মৌলিক বিষয় কয়টি ও কী কী ?
ইসলামিক তরীকায় কাজের নিয়ম
সকল কাজ গুলো ইসলামিক তরীকায় সম্পন্ন করা সম্ভব। কাজ গুলো ইসলামিক তরীকায় যেভাবে আমরা সম্পন্ন করতে পারি তা পর্যায় ক্রমে বর্ননা করা হলোঃ
ইসলামিক তরীকায় নামাজ, রোজা ,হজ, জাকাত সহ সকল কিছুর বর্ননা করা হলো।
নামাজ। ইসলামিক তরীকায় কাজের নিয়ম
নামাজ ইসলামের প্রধান ইবাদত ও রুহানি সংযমের প্রতীক। এটি প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্তের মধ্যে আদায় করা হয়। নামাজের কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপযুক্তি সংক্ষেপে নিচে তুলে ধরা হল:
1. ঘুসল: পূর্ণ বিচ্ছেদের আগে ওয়াজিব ঘুসল করতে হয়।
2. নিয়ত: প্রতিটি নামাজের আগে নিয়ত করতে হয়। মনে রাখতে হবে যে এই নামাজ আল্লাহর প্রেমে এবং বাধ্যতামূলক বিচার ধারণ করা হচ্ছে।
3. তাহারাত: পুরুষের জন্য নামাজের আগে তাহারাত করতে হয়। এটি বিশুদ্ধির জন্য উপযুক্ত ধাতু ব্যবহার করে হাত ধুয়ে বা মুখ পরিষ্কার করা হয়।
4. মুসাল্লা সম্পর্কিত মাসআলা: নামাজ আদায়ের সময়ে মুসাল্লায় এসে উচিত। মুসাল্লা সঠিকভাবে পরিচ্ছন্ন হতে হবে এবং নামাজের নিয়মাবলীতে সঠিকভাবে অংশ নিতে হবে ।
রোজা। ইসলামিক তরীকায় কাজের নিয়ম
রোজা ইসলামের প্রধান ইবাদত এবং রমজান মাসের মধ্যে ফরজের হিসাবে আদায় করা হয়। রোজা মানে রাতের থেকে সূর্যাস্তের আগে খাবার, পানীয় এবং যৌন সঙ্গম সম্পর্ক থেকে বিরত থাকা। রোজার পবিত্রতা এবং পরিপূর্ণতা সংরক্ষণ করার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা সংক্ষেপে নিচে তুলে ধরা হল:
1. ইন্টেন্ট/নিয়ত: রোজা শুরু করার আগে ইন্টেন্ট বা নিয়ত করতে হয়। মনে রাখতে হয় যে রোজা আল্লাহর প্রেমে এবং পরিপূর্ণতার জন্য রাখা হচ্ছে।
2. সেহরী ও ইফতার: রোজা রাখার জন্য সেহরী করতে হয়। সেহরী সময়ে সুবহে সাদিক থেকে আগের সময়ের মধ্যে খাবার ও পানীয় গ্রহণ করতে হয়। ইফতার সময়ে রোজা ভঙ্গ করে খাবার ও পানীয় গ্রহণ করা হয়।
হজ। ইসলামিক তরীকায় কাজের নিয়ম
হজ ইসলামের পাঁচটি বিশেষ ইবাদতের মধ্যে একটি। হজ মুসলিমদের জন্য প্রতি বছরে মক্কা শরীফের কাবা কিবলা দিয়ে অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান করে। হজের সময়কাল এবং পদ্ধতি নিম্নলিখিতভাবে বিবরণ করা হল:
1. ইহরাম: হজ শুরু করার জন্য মুসলিমকে ইহরাম পরিধান করতে হয়। ইহরাম মানে একটি বিশেষ পোশাক পরিধান করা যায় যা অংশীদার মুসলিমের উপর নিষিদ্ধ কিছু কর্ম এবং স্থানান্তর উপযুক্ত করে।
2. তাওয়াফ: হজের প্রধান অংশ হল কাবার আশেপাশে সাতটি পাথারের চাক্রবর্তী পথে পাঁচবার বারাবার ঘুরে যাওয়া, যা তাওয়াফ বলা হয়।
3. সায়: তাওয়াফের পরে মক্কা শরীফ থেকে সাফা ও মারওয়া পাহাড় পর্যন্ত দুটি পাথের মধ্যে সাতটি চলাচল করে এই পাথ সায় বলা হয়।
জাকাত। ইসলামিক তরীকায় কাজের নিয়ম
জাকাত ইসলামের একটি আরকানিক প্রতিবন্ধক ইবাদত। এটি ধর্মীয় দায়িত্বের অংশ হিসেবে মালিকানাধীন মুসলিমদের প্রতি আদায় করতে হয়। জাকাত দানের পদ্ধতি এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা সংক্ষেপে নিচে তুলে ধরা হল:
1. নিশাব: জাকাত প্রদানের জন্য নিশাব নির্ধারণ করা হয়। নিশাব হল নির্ধারিত মালিকানাধীন সম্পত্তির সর্বনিম্ন পরিমাণ।
2. প্রদান: জাকাত প্রদান করার জন্য মালিকানাধীন সম্পত্তির নির্দিষ্ট পরিমাণের পার্ট প্রদান করতে হয়। এটি আমানতভুক্ত ও সংগ্রহিত হয় এবং দরিদ্র, মিসকীন এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলির উপকারে ব্যয় করা হয়।
3. সময়: জাকাত সময় অন্তর্ভুক্ত করে আদায়ের সময়ে অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকে। মাস বা বছরের পরিমাণ নির্ধারণ করে জাকাত আদায় করতে হয়।
আরো পড়ুনঃ বাংলা ইসলামিক স্ট্যাটাস 2023 । Bangla Islamic Status
বিবাহ। ইসলামিক তরীকায় কাজের নিয়ম
বিবাহ ইসলামে একটি পবিত্র সামাজিক পদ্ধতি এবং মানবিক সংগঠন। ইসলামিক বিবাহের পদ্ধতি এবং নির্দেশনা সংক্ষেপে নিচে দেওয়া হল:
1. নিকাহ: বিবাহের প্রথম পদ্ধতি হল নিকাহ। নিকাহ হল মুসলিম পুরুষ এবং মুসলিম মহিলা দুজনের মধ্যে একটি আদল মুযাকাবিল চুক্তি স্থাপন করা। এটি সামাজিক প্রতিবন্ধক এবং ধর্মীয় ব্যবস্থার সাথে সম্পৃক্ত।
2. মাহর: নিকাহের সময় মাহর নির্ধারণ করা হয়। মাহর হল স্ত্রীর পক্ষে স্বাভাবিক অর্থ বা কিছু সম্পত্তি যা স্বামীর পক্ষে সংগ্রহিত হয়। মাহর স্ত্রীর সম্মান ও সামাজিক আর্থিক স্থিতির একটি প্রতীক।
3. মাহরাম ও নিকাহ স্বীকৃতি: একজন মুসলিম মহিলা কোনো মাহরাম (নিকাহ যাদের সাথে নিষিদ্ধ) পুরুষের সাথে বিবাহ স্থলে যেতে পারেন না বা নিকাহ করতে পারেন না। তারা নিকাহের জন্য নিকটস্থ সম্পদের স্বীকৃতি অর্জন করতে হবে।
4. শহীদ নিকাহ: যদি একজন পুরুষ শহীদ হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে তার মর্যাদায় বিবাহ সম্পন্ন করার জন্য মাহর নির্ধারণ করা হয় না।
5. উকীল বা মেয়ের পরিচয় ও সম্মান: নিকাহের সময় উকীল (মুসলিম মেয়ের পরিচয়কে প্রতিষ্ঠা করার জন্য তার প্রতিনিধি) অসংখ্য প্রতিষ্ঠান ও মেয়ের সম্মান বজায় রাখতে হয়।
উপার্জন। ইসলামিক তরীকায় কাজের নিয়ম
ইসলামে উপার্জন একটি মুসলিমের দায়িত্ব এবং আদর্শ। ইসলামে উপার্জন এবং আয় প্রাপ্তির জন্য নির্ধারিত নিয়ম ও নির্দেশনা রয়েছে। কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামিক নির্দেশনাগুলো সংক্ষেপে নিচে তুলে ধরা হল:
1. হালাল আয়: ইসলামে উপার্জনের প্রথম ও মৌলিক শর্ত হল হালাল আয় করা। হালাল আয় মানে শরীরিক ও নৈতিক দৃষ্টিতে সম্পূর্ণভাবে বিধি-নিষেধ মেনে চলা উপার্জন।
2. মিজান: ইসলামে ন্যায়পরিমাণ ও সমতুল্য উপার্জনের জন্য মিজান অনুসরণ করা উচিত। দোষপূর্ণ ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড, স্বার্থপরতা এবং সমাজে ক্ষতিকারক কার্যকর্ম থেকে বিরত থাকা উচিত।
3. সদকা: ইসলামিক দায়িত্বে উপার্জন করার সাথে সাথে সদকা অর্পণ করা উচিত। সদকা হল অতিরিক্ত আদায়ের মাধ্যমে দরিদ্রদের সাহায্য করা।
এভাবে সকল কিছুই ইসলামিক তরীকায় সম্পন্ন করা সম্ভভ। তাই আমাদের উচিত সকল কাল গুলো একজন মুসলিম হিসাবে আমাদের ইসলামি তরীকায় সম্পন্ন করা।
এছাড়াও INSURANCE সম্পর্কে যেকোনো তথ্য জান্তেঃ ক্লিক করুন